বিভীষন হাঁসদাকে নিয়ে এবার দড়ি টানাটানি তে তৃণমূল বিজেপি

9th November 2020 8:45 am বাঁকুড়া
বিভীষন হাঁসদাকে নিয়ে এবার দড়ি টানাটানি তে তৃণমূল বিজেপি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁকুড়া শহর লাগোয়া চতুরডিহি গ্রামে বসবাস বিভীষন হাঁসদার পরিবারের । এই পরিবারকে নিয়ে রাজনৈতিক তর্জায় মেতেছেন বিজেপি তৃণমূল । বিভীষণ হাঁসদার এক মেয়ে রক্তের কঠিন অসুখে আক্রান্ত। গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সফরে গিয়ে এই বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । আর তাতেই লাইম লাইটে চলে আসেন নেহাতই ছাপোষা বিভীষণ হাঁসদার পরিবার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাঁকুড়া থেকে ফেরার পরই তাঁর বাড়িতে যান এনজিও র পরিচয় দিয়ে তৃণমূল কংগ্ৰেস নেত্রী । তারপর  ফের বিভীষণ হাঁসদার পরিবারে গিয়ে তাঁর মেয়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব ও পরিবারের পাশে থাকার আস্বাস দেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। শুধু তৃনমূল বা বিজেপি নেতারা নয় বিভীষণ হাঁসদার পরিবারকে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। বিজেপি সাংসদ বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি থেকে বের হতেই সেখানে হাজির হন বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও বিপ্লব কুমার রায়। পরিবারটির পাশে থাকা ও বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনিও। বিভীষন হাঁসদা নিজে অবশ্য এসব রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মাঝে যেতে নারাজ। বিভীষন হাঁসদা নিজে বারবার বলেছেন , তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন । তিনি দরিদ্র মানুষ । রোজ না খাটলে তার স‌ংসার চলে না । তবু তাকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।